অটোপাসের দাবিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ওপর হামলা

১১২.webp

ডেস্ক রিপোর্ট :
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (পাস) ২০২২ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের অটোপাসের দাবির আন্দোলন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য (ভিসি) এ এস এম আমানুল্লাহর ওপর হামলা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর বোর্ডবাজার এলাকায় ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকে এ ঘটনা ঘটে। এতে উপাচার্য সামান্য আহত হয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা অন্যায় দাবি নিয়ে ক্যাম্পাসে এলে ভিসি স্যার তাঁদের দাবি প্রত্যাখ্যান করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা স্যারের ওপর হামলা চালান। তবে স্যার সুস্থ আছেন।’

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, স্নাতক (পাস) ২০২২ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অটোপাসের দাবিতে বিভিন্ন সময়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মূল ফটকে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খল অবস্থা সৃষ্টির চেষ্টা করে আসছেন। কিন্তু অটোপাস না দেওয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃঢ় অবস্থানের কারণে এই স্নাতক (পাস) কোর্সের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৬৯ ভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেন। এরপর আজ সকাল থেকে স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মূল ফটকে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। দুপুর ১২টার দিকে উপাচার্য ক্যাম্পাসে প্রবেশের সময় শিক্ষার্থীরা তাঁর গাড়ি আটকে রাখেন। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের ওপর হামলা চালান। পরে ক্যাম্পাসের আনসার সদস্য ও কর্মকর্তারা উপাচার্যকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যান। হামলায় উপাচার্য কিছুটা আহত হন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, করোনা মহামারি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক অস্থিরতার কথা বিবেচনা করে ওই ব্যাচের শিক্ষার্থীদের গ্রেস মার্ক দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাঁদের খাতা পুনর্মূল্যায়নের সুযোগও দেওয়া হয়েছে। এর ফলাফল এ মাসেই বের হবে। কিন্তু বিভিন্ন মহলের উসকানির পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাচটির কিছু অকৃতকার্য শিক্ষার্থী আবার অটোপাসের দাবি নিয়ে আজ হঠাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ওপর হামলা চালান।
এ বিষয়ে গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী মোহাম্মদ রাশেদ বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ওপর হামলার বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস ম আমানুল্লাহর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।

এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কোনো অবস্থাতেই কোনো ব্যাচের শিক্ষার্থীদের অটোপাস দেওয়া হবে না। তিনি জানান, হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গাছা থানায় মামলার উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top